Tuesday, February 12, 2019

জন্মনিয়ন্ত্রনের পদ্ধতি নিয়ে যত ভুল ধারনা


জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি সমূহ সম্পর্কে বিশেষায়িত জ্ঞান রিপ্রোডাক্টিভ এন্ডোক্রাইনোলজির অন্তর্ভুক্ত।আমাদের দেশে এই পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে কিছু ভুল ধারনা ও বিশ্বাস প্রচলিত আছে যার কারনে ব্যবহার শুরু করার কিছুদিনের মধ্যেই অনেক মহিলা তা বন্ধ করে দেন।

প্রচলিত ভুল ধারনাগুলো হচ্ছে: 
ক) পদ্ধতির কারনেই কেবল শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়।
খ) স্বাভাবিক মাসিক বন্ধ রাখলে বা নিয়ন্ত্রন করলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।
গ) পদ্ধতি ব্যবহার করলে পরবর্তিতে বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।
ঘ) পদ্ধতি ব্যবহারকালে গর্ভধারন  করলে বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি বা অন্য কোন ক্ষতি হতে পারে।
ঙ) বিবাহিত নারীরা পদ্ধতি নিলে একসময় বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের আশঙ্কা থাকে।
চ) IUD বা IMPLANT শরীরে ধারন করলে তা রক্তে মিশে গিয়ে হারিয়ে যেতে পারে।

এসবই অমূলক ধারনা। এসব ধারনার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

জরায়ু অপসারন (hysterectomy) অপারেশনের কি বিকল্প নেই?

অতিরিক্ত মাসিক , মাসিকে ব্যথা প্রভৃতি কারনে প্রায়শ জরায়ু অপসারনের জন্য ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সন্তান ধারনের সময় বা দরকার না থাকলে জরায়ু অপসারন করা যায়।
তবে জরায়ু অপসারন অনেকে খুশিমনে মেনে নিতে পারেন না।অল্পবয়সে জরায়ু অপসারন করলে রক্ত সরবরাহ বিঘ্নিত হবার কারনে কয়েকবছরের মধ্যে ডিম্বাশয়ের কর্মক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। হরমোনের অভাবে বয়স্ক মহিলাদের যে সমস্যাগুলো হতে পারে তা আরো অল্প বয়সে শুরু হয়।
অনিয়মিত মাসিক, অতিরিক্ত মাসিক, মাসিকের ব্যথা এই সমস্যা গুলো ঔষধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রনে রাখা যায় অন্তত পরিণত বয়স বা মেনোপজ পর্যন্ত।বয়সের কারনে মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে আর জরায়ু অপসারনের প্রয়োজন থাকে না।