বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে শিশুরা এতিম হয়। অভাব বা সামাজিক কারনে অনাকাঙ্খিত গর্ভধারনের পর গর্ভপাত করতে চান এ রকম মায়েরাও অনেক আছেন। এর বিপরীতে তাদের কথা চিন্তা করুন যারা একটি শিশুর মুখ দেখার জন্য কী না করছেন।বন্ধ্যাত্বের সাথে যুঝে হেরে যাওয়া এ সব দম্পতিদের জন্য adoption বা দত্তক নেয়ার প্রক্রিয়া সহজ করা গেলে অনেক সমস্যারই সুস্থ সমাধান হতো।
দত্তক শিশুর সামাজিক ও আইনগত স্বীকৃতি, বংশীয় নাম ও সম্পত্তির উত্তরাধিকার প্রশ্নে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গী পাশ্চাত্যের তুলনায় ভিন্ন।তবে গরীব ও এতিম শিশুদের সাহায্য করাকে ইসলামে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়।
www.alislam.org অনুযায়ী.....
১) adoption বা দত্তক নেয়ার ব্যাপারে ইসলামে অনুমতি আছে। তবে দত্তক শিশুর প্রকৃত মা বাবার সূত্রে পাওয়া নাম পরিচয় গোপন বা পরিবর্তন করা যাবে না।
২) যদি শিশুটি ২ বছর বা তার কম বয়সী হয় এবং শিশুটিকে পালক মা কর্তৃক স্তন্যপান করানো হয় ( একদিন একরাত অথবা পর পর ১৫ বার), তবে ঐ শিশু নতুন পরিবারে মাহরাম ( অর্থাৎ যার সামনে পর্দা করা লাগবে না) গন্য হবে।
৩) দত্তক বা পালিত সন্তান পালক বাবা মায়ের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে না এবং প্রকৃত বাবা মার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে।তবে পালক বাবা মা চাইলে তাদের সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত পালিত সন্তানের নামে লিখে দিতে পারেন।
উল্লেখ্য যে গর্ভধারন না করে স্তন্যদানে সক্ষম করার ব্যাপারে চিকিৎসকেরা সাহায্য করতে পারেন।
পরিতাপের বিষয় যে বাংলাদেশে adoption বা দত্তক নেয়ার ব্যাপারে প্রাতিষ্ঠানিক কোন ব্যবস্থা নেই।বিদেশে এমনকি পার্শ্ববর্তি দেশ ভারতেও এর ব্যবস্থা আছে। ২০১৩ সালে অল ইন্ডিয়া ইনিস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স এ আই ভি এফ সেন্টারে থাকাকালীন দেখেছি বন্ধ্যা দম্পতিদের এই বিষয়ে পরামর্শ দিতে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে আছেন।তাঁর কাছে আমার আবেদন অসহায় এতিম শিশু এবং অনাকাঙ্খিত গর্ভধারন কারী মহিলাদের সাথে দত্তক নিতে ইচ্ছুক দম্পতিদের যোগাযোগ এর ব্যবস্থা করে adoption বা দত্তক নেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সহজ করা যদি সম্ভব হয়।
দত্তক শিশুর সামাজিক ও আইনগত স্বীকৃতি, বংশীয় নাম ও সম্পত্তির উত্তরাধিকার প্রশ্নে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গী পাশ্চাত্যের তুলনায় ভিন্ন।তবে গরীব ও এতিম শিশুদের সাহায্য করাকে ইসলামে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়।
www.alislam.org অনুযায়ী.....
১) adoption বা দত্তক নেয়ার ব্যাপারে ইসলামে অনুমতি আছে। তবে দত্তক শিশুর প্রকৃত মা বাবার সূত্রে পাওয়া নাম পরিচয় গোপন বা পরিবর্তন করা যাবে না।
২) যদি শিশুটি ২ বছর বা তার কম বয়সী হয় এবং শিশুটিকে পালক মা কর্তৃক স্তন্যপান করানো হয় ( একদিন একরাত অথবা পর পর ১৫ বার), তবে ঐ শিশু নতুন পরিবারে মাহরাম ( অর্থাৎ যার সামনে পর্দা করা লাগবে না) গন্য হবে।
৩) দত্তক বা পালিত সন্তান পালক বাবা মায়ের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে না এবং প্রকৃত বাবা মার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে।তবে পালক বাবা মা চাইলে তাদের সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত পালিত সন্তানের নামে লিখে দিতে পারেন।
উল্লেখ্য যে গর্ভধারন না করে স্তন্যদানে সক্ষম করার ব্যাপারে চিকিৎসকেরা সাহায্য করতে পারেন।
পরিতাপের বিষয় যে বাংলাদেশে adoption বা দত্তক নেয়ার ব্যাপারে প্রাতিষ্ঠানিক কোন ব্যবস্থা নেই।বিদেশে এমনকি পার্শ্ববর্তি দেশ ভারতেও এর ব্যবস্থা আছে। ২০১৩ সালে অল ইন্ডিয়া ইনিস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স এ আই ভি এফ সেন্টারে থাকাকালীন দেখেছি বন্ধ্যা দম্পতিদের এই বিষয়ে পরামর্শ দিতে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে আছেন।তাঁর কাছে আমার আবেদন অসহায় এতিম শিশু এবং অনাকাঙ্খিত গর্ভধারন কারী মহিলাদের সাথে দত্তক নিতে ইচ্ছুক দম্পতিদের যোগাযোগ এর ব্যবস্থা করে adoption বা দত্তক নেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সহজ করা যদি সম্ভব হয়।
No comments:
Post a Comment