Saturday, January 26, 2019

বন্ধ্যাত্ব কখন এবং কেন?

যখন স্বামী স্ত্রী পূর্ন এক বছর স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবন যাপনের পরও তাদের সন্তান সম্ভাবনা হয় না, তখন আমরা তাদের পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর যে কারনগুলো জানা যায় তাতে আনুমানিক স্ত্রীর সমস্যা ৩০ শতাংশ, স্বামীর সমস্যা ৩০ শতাংশ, স্বামী-স্ত্রী উভয়ের সমস্যা ২০ শতাংশ, কোন সমস্যা পাওয়া যায় না ২০ শতাংশ।
স্ত্রীর সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে ডিম্বানু না হওয়া, ডিম্বনালী যার মাধ্যমে ডিম্বানু ও শুক্রানু মিলিত হয়ে ভ্রূণ তৈরী হয় তা ব্লক হয়ে যাওয়া বা তার কার্যক্ষমতা নষ্ট হওয়া, ইনফেকশন বা অন্য কোন কারনে তলপেটের অঙ্গসমূহ যেমন জরায়ু, ডিম্বনালী, ডিম্বাশয় প্রভৃতির কার্যক্ষমতা বা পারস্পরিক সুবিধাজনক অবস্থান বিনষ্ট হওয়া, জরায়ু অর্থাৎ ভ্রূণের প্রতিস্থাপন বা বৃদ্ধির যে জায়গা তাতে সমস্যা হওয়া, জরায়ুর মুখ যার মাধ্যমে শুক্রানু প্রবেশ করে তাতে সমস্যা।
স্বামীর সমস্যাগুলো হচ্ছে বীর্যে শুক্রানু না থাকা বা কম থাকা, শুক্রানুর নিষ্ক্রিয়তা, শুক্রাণুর অস্বাভাবিক গঠন, যৌন দূর্বলতা।
যখন কোন কারণ পাওয়া যায় না তখন এ রকম ভাবার কোন অবকাশ নেই যে অপেক্ষা করে থাকলে একসময় বাচ্চা আসবে। হয়তো কোন গুরুতর কারণ আছে যা প্রচলিত পরীক্ষা নিরীক্ষায় ধরা যায় নাই।চিকিৎসার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে ধাপে ধাপে।

No comments:

Post a Comment