এন্ডোমেট্রিওসিস রোগ হয় যখন জরায়ুর আভ্যন্তরীন ঝিল্লী বা এন্ডোমেট্রিয়ামের মতো টিস্যু তলপেটের অন্যান্য অঙ্গের গায়ে লেগে থাকে ও বৃদ্ধি পায়। প্রতিমাসে মাসিকের সময় যেমন জরায়ুর অভ্যন্তর হতে রক্তস্রাব হয়, তেমন এন্ডোমেট্রিওসিস হতেও রক্তপাত হয়।এতে তলপেটের অঙ্গ সমূহে প্রদাহ ও ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং অঙ্গসমূহের স্বাভাবিক পারস্পরিক বিন্যাস নষ্ট হয়ে যায়।
এন্ডোমেট্রিওসিস এর উপসর্গ কি?
অনেক মহিলার শরীরে এন্ডোমেট্রিওসিস থাকলেও বাইরে কোন উপসর্গ থাকে না।সাধারন উপসর্গের মধ্যে আছে মাসিকের ব্যথা, তলপেটের ব্যথা, সংগমকালীন ব্যথা ও বন্ধ্যাত্ব।
কিভাবে এন্ডোমেট্রিওসিস রোগ নির্নয় করা হয়?
উপসর্গ সমূহ হতে এন্ডোমেট্রিওসিস রোগের উপস্থিতি সম্পর্কে সন্দেহ করা যায়, তবে নিশ্চিতভাবে রোগনির্নয়ের জন্য সার্জারী, যেমন ল্যাপারোস্কোপি বা ল্যাপারোটমির প্রয়োজন হয়।আল্ট্রাসনোগ্রাফি বা এম আর আই এর মাধ্যমে কখনো কখনো এন্ডোমেট্রিওসিস ধরা পরে।
কিভাবে এন্ডোনেট্রিওসিস চিকিৎসা করা হয়?
রোগীর বয়স, উপসর্গের তীব্রতা, গর্ভধারনের প্রয়োজনীয়তা প্রভৃতি বিষয় বিবেচনা করে চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারন করা হয়।বিভিন্ন মেয়াদে খাওয়ার ঔষধ বা ইনজেকশন এবং / অথবা বিভিন্ন ধরনের সার্জারীর মাধ্যমে এন্ডোমেট্রিওসিসের চিকিৎসা করা হয়।
চিকিৎসার পরও কি এন্ডোমেট্রিওসিস হতে পারে?
যে সব রোগী এন্ডোমেট্রিওসিস এর জন্য সার্জারী বা অপারেশন করেন এবং অন্তত ৬ মাস ঔষধ বা ইনজেকশনের চিকিৎসা নেন, তাদের প্রায় ৫০ শতাংশ ৫-১০ বছরের মধ্যে পুনরায় এন্ডোমেট্রিওসিস জনিত ব্যথা অনুভব করেন।এন্ডোমেট্রিওসিস একটি দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা যার দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা ও পরামর্শের প্রয়োজন।
No comments:
Post a Comment